আমি পড়ব আমি লড়ব আমি উন্নতি করব
- manisha chhetri
- Feb 9, 2024
- 3 min read
Updated: Jul 18, 2024
দেশআমার দেশ ভারতবর্ষ।যা আমাদের মা মাটি যেখানে সব সময় থাকে হাসিখুসি,শিক্ষায় শিক্ষিত আমাদের
দেশবাসীর প্রাণ।এইখানের দেশবাসির সাথে আছে এক একটা জাতি,ধর্ম,সংস্কৃতির এক মিলন সাধন। তার সাথে আছে এক সমাজ কল্যাণকারী সংস্কারের বাতাবরণ যা এই দেশের পিতা,মাতা সবসময় নিজের সন্তানকে সেই ভালো সংস্কারগুলির মধ্য দিয়েই তাদের সন্তানকে ছোট থেকেবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে থাকেন।এই সুকল্যানমূলক সংস্কার চিরন্তকালধরেই চলে আসছে।পড়াশোনা,স্কুল,কলেজ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সব শিক্ষাগুলি পূরণ করার অবিরামের মধ্য দিয়েই তৈরি হয় একটি যোগ্যতাপূর্ণ নাগরিক যা দেশের দায়দায়িত্বগুলি বুঝে ও সে নিজের কর্তব্য মতন দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যায় অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।সে নিয়ে যায় নিরক্ষরতার থেকে স্বাক্ষরতার দিকে,উন্নতির পথে যারা এখনো সমাজে
পিছিয়ে আছে তাদেরকেও সে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যায়।এই ভাবেই চলে আসছে সব দেশের মানবিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার সাধন।
কিন্তু এই আমার সুবর্ণ দেশ, মহাদেশ গোটা পৃথিবী জুড়ে আসল এক মহামারি যা সব ছোট,বড় দেশের পক্ষই ছিল ভয়ঙ্কর, মৃত্যুমুখীকারী এক অভিশাপ যা পৃথিবীবাসির কাছে ছিল খুবই কষ্টকর,অসুবিধাজনক এক রোগ যার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য নানা ধরণের উপায়গুলো বের করে রক্ষা করার চেষ্টা করলো সরকার ও নানা জনকল্যাণকামী সংগঠনগুলি।কত সব নানা ধরণের চেষ্টা প্রচেষ্টার ফলে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য কয়েক ধরণের সচেতন উপায় ঔষুধ ইত্যাদি ও এখনতো বের হয়ে গেছে প্রায় সব দেশে। এত সব চেষ্টার পরে তবুও কিন্তু কী আমরা সেই আগের মত দেশের ক্রিয়াকলাপে ফিরে আসতে পেরেছি,ফিরে আসার পরে ও কী আমাদের মধ্যে সেই মনোবল ভেঙে দেওয়ার যে রোগ আছে সেই রোগ থেকে রেহাই পাবো কী আমরা কোনো দিন।সেই আমাদের মনের একটা ছোট রোগের ভয়ের জন্য আমরা বিজ্ঞানের আধুনিকীকরণ যতই উঁচু মর্যাদাতে চলে যাক না কেন তবুও আমরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করা টাই ছেড়ে ফেলছি মতন হয়ে বসে পড়ি এই মহামারির এক একটা ধরণের রূপের সামনে বাড়ির গণ্ডির মধ্যেই।সেই আমাদের মনের একটা রোগের ভয়ের জন্য যার ফলে আমাদেরতো
দৈন্দিন জিবনের যা দায়দায়িত্ব আছে নিজের,নিজের পরিবারের ও দেশের পক্ষে যা আমাদের আসল দায়িত্ব সেই সংস্কার থেকেই দূরে সরে যাচ্ছি আমরা শুধু এই কয়েক দিন বা কয়েক বছরের জন্যই শুধু সময় নষ্ট করে যাচ্ছি তা নয়।আমরা এর সাথে সাথে আমাদের ভবিষৎতের জন্য বড় হওয়া শিশুদের ও ভবিষৎ নষ্ট করে যাচ্ছি।কারণ আমরা যদি এই মাহামারি থেকে লড়াই এর সাহস এখন ও না করে থাকি তা হলে আমরা সেই আসা আমাদের নতুন প্রজন্মের শিশুদেরকে কী শিক্ষা দিতে পারবো এই একটা রোগ কী আমাদের কয়েক বছর থেকে চলে আসা শিক্ষা পরিকল্পনা,সংস্কৃতি,ধর্মীয়,সুকল্যাণমূলক সংস্কারের থেকে ও বড় ছিল।কী এতোই ভয়ঙ্কর ছিল যার প্রকোপ চলে যাওয়ার পরে ও আমাদের জিবন বেচে যাওয়ার পরে ও আমাদের মনের থেকে সেই ভয় বের হয় নি।আর আমরা আগের মতন আমাদের দায়দায়িত্ব বুঝতে পারিনি বা না বোঝার মতন ভ্রান করে রোগের নাম নিয়ে আলসে হয়ে গেছি।
কী আমাদের সেই শিক্ষা সংস্কার,শিক্ষা সংগঠনগুলি এই ভাবেই তৈরি করা হয়েছিল যা একটা রোগের কাছে দু-চার বছরের মধ্যেই নিজের আদর্শ দায়দায়িত্ব ভুলে গিয়ে বাড়িতেই থাকার সমাধানের মধ্যেই টিকে রইলো।কী আমরা একটা রোগের কাছে হার মেনে নিলাম।
সেটা কোনো ভাবেই নয় বর্তমানে বিজ্ঞানের আধুনিকীকরণের বিশ্বে পৃথিবীর মানুষ আমাদের এই রোগের মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে সেই ভাবেই নতুন জীবণসারণীর ক্ষেত্রগুলিতে নতুন নতুন নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে এই ধরণের নানা আদর্শগুলীর শিক্ষা দিতে শুরু করেছে,নানা ধরণের উন্নতমানের ঔষুধপত্র ইত্যাদির পরিক্ষা নিরীক্ষা সফল পরিণাম করে। জনসাধারণকে এই সব জিনিসের সুবিধাগুলি প্রয়োগের মাধ্যমে বাঁচতে সিখাচ্ছে।কয়েক মানুষ এই মহামারির সময় জিবন হারালো তাদেরকে হয়তো সুস্থ ভাবে বাচায় ফিরে আনতে না পারলেও কিন্তু যারা এই পৃথিবীতে বেচে আছেন তাদেরকে বাঁচানোর সব ধরণের ব্যবস্থা এখন বাস্তব সময়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় গোটা বিশ্বজুড়ে।যাতে পৃথিবীর মানুষ এই মহামারীর রোগটাই শুধু নয় এর থেকে ও আরও বড় রোগ,বিপদ,বিপর্যয় কোনো সময় এই ভূখণ্ডে আসুক না কেন সেই বিপদের সঙ্গে লড়ার সাহস আমাদের মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে আছে বলে সেই সাহসের সাথে বাঁচার শ্লোগান অতিশ্রীগ্রই একদিন আমাদের দেশবাসি শুধু নয় পুরো পৃথিবীবাসি একদিন বলবে “আমি পাড়ব আমি লড়ব আমি উন্নতি করব” এই শ্লোগানের সাথেই আমাদের এগিয়ে আসতে হবে বাস্তবের দৈনন্দিন জিবনেও।যাতে ভবিষৎতে এই চরমপর্যায়ক্রমি কোনো রকমের রোগ বিপদ আসলে আমরা সাহসের সাথে লড়তেও পারি,পড়াশোনা করতেও পারি আর উন্নতির পথে এগিয়ে চলতেও পারি আর যেকোনো রোগ,বিপদ আসলে সাহসের সাথে জবাবে বলতেও পারিঃ
"আমি পড়ব আমি লড়ব আমি উন্নতি করব"
"সময়ে সময়ে এক একটা মহামারি রোগ, বিপদ, বিপর্যয়, দুর্ভিক্ষগুলি হল আমাদের প্রকৃতির এক একটা অংশ যা এই পৃথিবীবাসিকে নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার শিক্ষা দিতেই থাকে মাঝে মাঝেই কিন্তু মানব
জাতিকে বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে যে রকমেরই সমস্যা,বিপদ আপতকাল আসুক না কেনো তার প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রে না আসুক যদি এর প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো কারণে পড়ে থাকে তাহলে আসল বিপর্যয় কী জিনিস সেটা পৃথিবীবাসি পরিকল্পনা অব্দি করতে পারবে না।"
Commentaires