ধর্ম
- manisha chhetri
- Apr 25, 2024
- 2 min read
Updated: May 6, 2024
মানুষ নিজের ধর্ম অনুসারে তাদের ধার্মিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে নিজের ভগবানের সামনে নিজের আর নিজের পরিবারের সাথে এই পৃথিবীবাসীদের সুরক্ষা প্রতিরক্ষার মনোকামনা করে থাকে।যাতে জিবনে বেঁচে থাকার পথে কোনো বিপদজনক সময় কোনো কঠিন পরিস্থিতির সামনাসামনি হলে সেই বিপদের সময় মানুষরাই মানুষের সাহায্য করে সেই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সুরক্ষিত ভাবে থাকতে পারে ভগবানের সৃষ্টি করা এই পৃথিবীতে।কিন্তু ভগবানের সৃষ্টি করা এই পৃথিবীকে এখন কয়েকসংখ্যক স্বার্থলোভী মানুষ তাদের ইচ্ছা মতন এই পৃথিবীর সমাজব্যবস্থাকে পালটে দিয়েছে আর শুরু করেছে নতুন স্বার্থলোভিদের সমাজব্যবস্থা যার প্রকোপে কখনো কখনো পৃথিবীর মানবসমাজে বসবাস করে থাকা মানুষদের ভালো হয় আর কয়েক ক্ষেত্রে খারাপ ও হয় ভালোর দিক যেমন মানুষের কল্যাণের জন্য হয় সেভাবেই খারাপ দিক মানুষের মানবিক চিন্তাধারার পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
পৃথিবীর মানুষ হিসেবে প্রত্যেক মানুষ ভাবে যে তাদের একি ধরণের দেহ আকৃতি আর একি ধরণের হাত,পা,নাক,মুখ,চোখ,কান আছে বলে আর একি ধরণের সমাজের সাথে পরিবারিক ব্যবস্থা আছে বলে। কিন্তু তারা হয়তো জানে না যে এই নতুন স্বার্থলোভীদের সৃষ্টি করা এই পৃথিবীতে পৃথক পৃথক ধর্মের নামের সাথে সাথে ভগবানের অস্তিত্ব অব্দি আলাদা আলাদা আছে বলে আর সেভাবেই সমাজব্যবস্থার নিয়মাবলী ও আলাদা আলাদা করে কার্যকরী করা হয়ে আছে বলে।
বর্তমান দিনে কোনো মানুষ ভেবে থাকে যে আমাদের শরীরের রক্ত লাল আছে আর প্রত্যেক মানবসম্প্রদায়ের শরীরের রক্ত লাল আছে তার ভিত্তিতে আমরা সবাই এক পরিবারেরই ভাই ভাই তাহলে সেই মানুষের মতন বোকা মানুষ এই পৃথিবীতে কোনো জিব নেই।কেননা মানুষ হলেই যে ও এক পরিবারের ভাই ভাই হয় তাহলে আজকে কেউ নিজের দেশের নাগরিকতার অধিকারের জ্বালায় পড়ে আজকে আশ্রয়হীন হয়ে বাধ্য ভাবে রাস্তার মধ্যে নিজের আর নিজের পরিবারের জীবনের সাথে আশ্রয়স্থানের ভিক্ষা না চেয়ে চলতো এই বর্তমান দিনের উন্নতশীল বিশ্বে।
যদি এই পৃথিবীর সব মানুষ একি পরিবারের ভাই ভাই হত তাহলে আজকে কেউ নিজের ধর্ম নিজের সংস্কৃতি নিয়ে পৃথক পৃথক মত রেখে মানবসম্প্রদায়েরই অবনতি না করে থাকতো।
যদি এই পৃথিবীর সব মানুষ একি পরিবারের ভাই ভাই হত তাহলে আজকে কেউ জাতীয়তাবাদ,উপনিবেসিক্তাবাদের উপর ভিত্তি করে একে অপরের প্রতি যুদ্ধ চালিয়ে মানবসম্প্রদায়ের সাথে সাথে প্রকৃতিক সম্পদের হানি না করে থাকতো।
মানবকল্যাণের দ্বারা ভগবানের সেবা এই মনোকামনা প্রত্যেক মানবহৃদয়ী মানবপ্রেমিকদের ধর্মের মধ্যে বিস্তারিত ভাবে লেখা থাকে আর নিজের নিজের ধর্মীয় পন্থা অনুযায়ী মেনে নেওয়ার মতন অভিনয় মানুষ নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকার সময় বা কয়েক ক্ষেত্রে কয়েক মুহূর্ত অব্দি করেও থাকে।কিন্তু মানবকল্যাণের দ্বারা ভগবানের সেবা নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকার সময় বা কয়েক ক্ষেত্রে কয়েক মুহূর্ত অব্দি তাকে প্রকাশিত করলেই যে মানবসম্প্রদায়ের কল্যাণ হতো তাহলে কেনো আজকে পৃথিবীর এক একটি দেশ যুদ্ধের দ্বারা মানবসম্প্রদায়ের সাথে এই পৃথিবীমায়ের বিনাশ করে এই পৃথিবীর জীব জগৎকে বিলুপ্তের পর্যায়ে পৌঁছে দিত।
“এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পথে মানুষ কয়েক ধরণের কর্মের দ্বারা নিজের নিজের জীবিকা চালিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ভগবান দ্বারা নির্দেশ পেয়ে আছে।কিন্তু কী ভগবান মানুষের মধ্যে যে মানবতাবাদ ধর্মের সৃষ্টি করে মানুষকে মানুষ রূপে বাঁচতে শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই মানবতাবাদ ধর্মের ধ্বংস করার অধিকার কী ভগবানের নির্দেশের মধ্যে পড়ে এই কথা একবার প্রত্যেক মানুষকে ভাবতে হবে যে ওরা বর্তমান দিনে কোন নির্দেশহীন পর্যায়ে এসে মানবতাবাদ ধর্মের ধ্বংসের পথে পৌঁছে গেছে বলে।“
Comments